সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সরকারী প্রকল্পের ঘরের আবেদন করেও মেলেনি ঘর। বৃদ্ধা মা আর স্ত্রী সন্তান নিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধি নিয়ে দৈনদশায় দিন কাটাচ্ছেন শিল্পীর পরিবার। রং তুলির ক্যানভাশ আজ অন্ধকারের গভির সমুদ্রে ডুব দিয়েছে। দৈনদশায় পুরশুড়ার মশিনান গ্রামের পরিতোষ সামুই।এক সময় রং তুলির পাশাপাশি যাত্রা,নাটক সহ বিভিন্ন কবিতা লিখে পেয়েছেন কবি সম্মাননা সহ পুরষ্কার। বর্তমানে আর্থিক অনটন আর কঠিন পরিস্থিতিতে দিন কাটছে শিল্পী পরিতোষ সামুই। পুরশুড়া মশিনান এলাকায় এডবেশটর ও ত্রীপল দিয়ে ছাউনি করা বাড়ি। পরিতোষ বাবুর মা মনসা সামুই ৭০ উর্ধ বিধবা বৃদ্ধা। অভিযোগ এখনও পাননি বিধবা ভাতা। বার্ধক্য ভাতা চেয়ে সরকারী দপ্তরে দপ্তরে হন্নে হয়ে ঘুরে ঘুরে শেষে আশা ছেরে দিয়েছেন। কপালে জোটেনি সরকারী গৃহ নির্মাণে অনুদানও।তিনি বলেন" ছেলে একমাত্র সংসারের মূল উপার্জনকারী। এক নাতি তার পরাশুনা খরচ সামাল দিতে পারছি না। সরকারী কোন সহায়তা নাই বলে জানান। এক সময় এলাকার বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের বিঞ্জাপন,সমস্থ রাজনৈতিক দলের হয়ে ছড়া দেওয়াল লিখনে আর্থিক রোজগারের দরজা খুলে ছিলো। ডিজিট্যালের ফ্লেক্স হোডিং এর যুগে রং তুলি নিয়ে হাতে আঁকা ছবি লেখার কদর অনেকটাই কমেছে । আর ডাক আসে না। প্রথম থেকেই নাটক,যাত্রা,কবিতা লেখে বিভিন্ন সমাজ সেবামুলক কাজে বিশেষ পরিচিত পরিতোষ বাবু। বর্তমানে নুন আনতে পানতা ফুরোতে অবস্থায় পরিতোষ বাবু বলেন" শরির খারাপ, এই কাজের আর কদর নেই। সত্যিকারের যারা শিল্পী মনষ্ক এই পেশায় প্রথমে খোলা আকাশে ভাষতে ভাষতে চলে আসে। নতুন রঙে ভাসতে ভাসতে কখন যে অন্ধকারে হারিয়ে যায় কেউ খবর রাখে না" ।সরকারি ভাবে বা কোন সহৃদয় মানুষ যদি সহায়তা করতো এবং তার পাশে এসে দাঁড়ায়। সেই আশা নিয়ে আছেন পরিতোষ বাবু। শিল্পীদের এমন করুন ভবিষ্যৎ পরিনতিটা মেনে নিতে পারছেন না তিনি। হয়তো এমন হাজারো শিল্পীদের শেষ দশা এমনই হয় আক্ষেপ।