রঙ তুলির ক‍্যানভাস ভিজছে চোখের জলে : ঘরের আবেদন করেও মেলেনি শিল্পীর

27th June 2021 11:29 am হুগলী
রঙ তুলির ক‍্যানভাস ভিজছে চোখের জলে : ঘরের আবেদন করেও মেলেনি শিল্পীর


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সরকারী প্রকল্পের ঘরের আবেদন করেও মেলেনি ঘর। বৃদ্ধা মা আর স্ত্রী সন্তান নিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধি নিয়ে দৈনদশায় দিন কাটাচ্ছেন শিল্পীর পরিবার। রং তুলির ক্যানভাশ আজ অন্ধকারের গভির সমুদ্রে ডুব দিয়েছে। দৈনদশায় পুরশুড়ার মশিনান গ্রামের পরিতোষ সামুই।এক সময় রং তুলির পাশাপাশি যাত্রা,নাটক সহ বিভিন্ন কবিতা লিখে পেয়েছেন কবি সম্মাননা সহ পুরষ্কার। বর্তমানে আর্থিক অনটন আর কঠিন পরিস্থিতিতে  দিন কাটছে শিল্পী পরিতোষ সামুই। পুরশুড়া মশিনান এলাকায় এডবেশটর ও ত্রীপল দিয়ে ছাউনি করা বাড়ি। পরিতোষ বাবুর মা মনসা সামুই  ৭০ উর্ধ বিধবা বৃদ্ধা। অভিযোগ এখনও পাননি বিধবা ভাতা। বার্ধক্য ভাতা চেয়ে সরকারী দপ্তরে দপ্তরে হন্নে হয়ে ঘুরে ঘুরে শেষে আশা ছেরে দিয়েছেন। কপালে জোটেনি  সরকারী গৃহ নির্মাণে অনুদানও।তিনি বলেন" ছেলে একমাত্র  সংসারের মূল উপার্জনকারী। এক নাতি তার পরাশুনা খরচ সামাল দিতে পারছি না। সরকারী কোন সহায়তা নাই বলে জানান। এক সময় এলাকার বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের বিঞ্জাপন,সমস্থ রাজনৈতিক দলের হয়ে ছড়া দেওয়াল লিখনে আর্থিক রোজগারের দরজা খুলে ছিলো। ডিজিট্যালের ফ্লেক্স হোডিং এর যুগে  রং তুলি নিয়ে হাতে আঁকা ছবি লেখার কদর অনেকটাই কমেছে । আর ডাক আসে না।  প্রথম থেকেই নাটক,যাত্রা,কবিতা লেখে বিভিন্ন সমাজ সেবামুলক কাজে বিশেষ পরিচিত পরিতোষ বাবু। বর্তমানে নুন আনতে পানতা ফুরোতে অবস্থায় পরিতোষ বাবু বলেন" শরির খারাপ, এই কাজের আর কদর নেই। সত্যিকারের যারা শিল্পী মনষ্ক এই পেশায় প্রথমে খোলা আকাশে ভাষতে ভাষতে চলে আসে। নতুন রঙে ভাসতে ভাসতে কখন যে অন্ধকারে হারিয়ে যায় কেউ খবর রাখে না" ।সরকারি ভাবে বা কোন সহৃদয়  মানুষ যদি সহায়তা করতো এবং তার পাশে এসে দাঁড়ায়। সেই  আশা নিয়ে আছেন পরিতোষ বাবু। শিল্পীদের এমন করুন ভবিষ্যৎ পরিনতিটা মেনে নিতে পারছেন না তিনি। হয়তো এমন হাজারো  শিল্পীদের শেষ দশা এমনই হয় আক্ষেপ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।